দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে, কম রংপুর বিভাগে। এছাড়াও একই সময়ে ৭৪০ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ২৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ১৬৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ১৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৭৭ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ২৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ২২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৫২ জন ও রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৩ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৯ জন ভর্তি হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ছয়জন নারী ও ছয়জন পুরুষ। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১ জন রয়েছে।
চলতি বছরে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪১ হাজার ৮৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গুর জন্য প্রতিরোধমূলক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কী?
যদিও ডেঙ্গু জ্বরের জন্য প্রতিরোধমূলক হোমিওপ্যাথিক ওষধ হিসেবে ইউপেটোরিয়াম পারফোলিয়াটামের ভূমিকা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট গবেষণালব্ধ তথ্য নেই, তবুও ডেঙ্গুর জন্য এটি একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর কারণ হলো, হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুসারে (হোমিওপ্যাথিক দর্শনে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী যে ওষধটি রোগের লক্ষণগুলির সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়, সেটিকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে), ডেঙ্গুর লক্ষণগুলোর সাথে ইউপেটোরিয়াম পারফোলিয়াটামের লক্ষণগুলি ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
বি. দ্র. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এক ওষুধ কিনে খেলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সাবধান।